
নিজস্ব প্রতিনিধি :
শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড আর একজন শিক্ষকের মূল দায়িত্ব হলো শেখানো। পটুয়াখালী সদর উপজেলার সেহাকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সালমা আক্তার নিজ উদ্যোগে অনলাইন ক্লাস কার্যক্রম শুরু করেছেন।
বর্তমানে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সকল স্কুল-কলেজ বন্ধ। এ জন্য বর্তমান সরকার অনলাইন কার্যক্রমে সংসদ টিভির পর্দায় নিয়মিত সূচি অনুযায়ী পাঠ দান করছে। পাশাপাশি দেশের অনেক স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কাজে লাগিয়ে বিষয় ভিত্তিক পাঠদান করে চলছেন।
এদিকে, পটুয়াখালী সদর উপজেলার সেহাকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সালমা আক্তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে “বাসায় বসে শিখি” নামক পেজের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পর্যায়ক্রমে সকল শ্রেণির ক্লাস অনলাইনে নিচ্ছেন।
তার এমন উদ্যোগ গ্রহণ করা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার মনে হলো দেশের পাশে দাঁড়ানোর এখনই সময়। আমি একজন শিক্ষক হিসেবে আমার কিছু দায়বদ্ধতা থেকে যায় সমাজ তথা দেশের জন্য। তাই আমি মনে করি আমার এই ক্লাশ পরিচালনা দ্বারা ছোট সোনামনিরা উপকৃত হবে। কারণ সবাই এখন বাসায় বন্দী জীবন যাপন করছে। আর মোবাইল সবার হাতে হাতে, তাই এই উদ্যোগ গ্রহণ করি।
তিনি আরো বলেন, আসলে দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সবাই যার যার অবস্থান থেকে দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। তাই আমি এ দেশের একজন সচেতন মানুষ হিসেবে হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারিনা। তাই আত্মউপলব্দি থেকে আমার অনলাইন ক্লাশের সূচনা।
শিক্ষক সালমা বলেন, আমাদের উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. সহিদুল ইসলাম এবং সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার শওকত আলী খান হিরনের মানসিক সহযোগীতা এবং স্কুল থেকে পাঠ সংশ্লিষ্ট সকল উপকরণ দেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে বলে দেন। এছাড়া পাঠদান দেখে অভিনন্দন জানান এবং প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।
উক্ত অনলাইন কার্যক্রম নিয়ে সেহাকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, বর্তমানে দেখা যায় টিভি বা ক্যাবল লাইন নেই এরকম অনেক বাসা আছে। কিন্তু স্মার্টফোন সবার কাছেই আছে। তাই তার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
অল্প ক’দিনের মধ্যেই অনেক সাড়া পেয়েছেন তারা। যত দিন পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে তত দিন তার এই কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান শিক্ষিকা সালমা আক্তার।