
নিজস্ব প্রতিনিধি:
২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় আহতরা আজও শরীরে বয়ে বেড়াচ্ছে শত শত স্প্লিন্টার। এখনও অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে সে দিনের নৃশংসতায় বেঁচে যাওয়াদের। গ্রেনেডের আঘাতে চিরদিনের জন্য হারিয়ে যাওয়া পরিবারগুলো বয়ে বেড়াচ্ছে স্বজন হারানোর ক্ষত। মামলার রায়েও খুব একটা সন্তুষ্ট হতে পারেনি আক্রান্তরা।
পায়ের মধ্যে গেঁথে থাকা শত শত স্প্লিন্টার আজও চুষে খাচ্ছে মাংসপেশিকে। যন্ত্রণায় কাতরে ওঠেন রাতদিন। ভয়াল ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামালায় আহত হয়ে একরকম পঙ্গুত্ব-বরণ করেছেন মাদারটেক আওয়ামীলীগের নেতা জালাল উদ্দিন।
২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামালায় আহত জালাল উদ্দিন জানান, হামলার পর আট ঘণ্টা কোন হুস ছিল না। সেই হামলার পর থেকে পায়ে এখন আর আগের মত জোর পাই না । শরীরের ভার রাখতে পারে না পায়ে। সারা গায়ে প্রায় পাঁচশো স্প্লিন্টার নিয়ে এখন বেঁচে থাকাকেই বড় পাওয়া।
২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামালায় আহত আনোয়ার পারভেজ টিংকু জানান, গ্রেনেড হামালার এত বিকট শব্দ হয়েছিলো কান দিয়ে তখন আর কোন শব্দ যায়নি। চারদিকে শুধু মানুষের আহাজারি দেখেছি। মনে হয়েছিলো আমার পা আর নাই। দেখি পুরো শরীর রক্তে ভরে গিয়েছে।
বিচার বিষয়ে তিনি বলেন, এই হামলা হওয়ার জন্য যারা অর্থ-দাতা, মদদ দাতা, যোগানদাতা এবং যারা পরিকল্পনা করেছে তাদের শিকড় তুলে ফেলতে হবে, যেন বাংলাদেশে এমন ঘটনা না ঘটে। কিছুতেই ভুলতে পারি না বিভীষিকাময় সেই ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলার মুহূর্ত।
গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে সেদিন আহত হন অন্তত তিনশ নেতাকর্মী। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে এমন কাপুরুষচিত হামলা হতে পারে না, কল্পনাতেও ছিল না কারও।
২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামালায় নিহত রফিকুল ইসলামের (আদা চাচা) ছেলে মাজহারুল ইসলাম মামুন জানান, হামলার মূল আসামির এখনো সাজা হয়নি। এটা মনের মধ্যে বড় কষ্ট। আমরা মনে করি তারেক রহমান এই হামলার মূল হোতা।
গ্রেনেড হামলা মামলার রায়েও খুব বেশি সন্তুষ্ট হতে পারেনি স্বজনহারা পরিবারগুলো। তবে বাবার আত্মত্যাগে গর্ব করেন আদা চাচা নামে পরিচিত রফিকুল ইসলামের পুত্র মামুন।
ঘাতকদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করে, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া রুখে দিয়ে দেশে স্বৈরশাসন ও জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা। তবে বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি।