
নিজস্ব প্রতিনিধি:
পৌরবাসীর প্রতি ভালোবাসা ও স্বীয় কর্ম গুনে গুনান্বিত ফরিদগঞ্জ পৌরসভার আলোচিত মেয়র মো. মাহফুজুল হক।
দেশের চলমান পরিস্থিতির শুরু থেকে সকলে যখন ঘরে অবস্থান করছে, ঠিক তখন মানবতার ফেরিওয়ালার ন্যায় মেয়র মাহফুজুল হক কখনো মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরন, সচেতনতা মূলক প্রচারণা, পরিচ্ছন্নতা অভিযান নগদ টাকা বিতরনসহ নানা কর্মযজ্ঞ নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন৷
কখনো আবার নিজের কথা চিন্তা না করে পৌরবাসীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়ে পৌরবাসীর মনের মনি কোঠায় স্থান করে নিয়েছেন তিনি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শহীদ উল্লাহর ছেলে মেয়র মাহফুজুল হক। মুক্তিযোদ্ধা বাবার আদর্শকে বুকে লালন করে নিজে জনপ্রতিনিধি হয়ে পৌরসভার এ প্রান্ত থেকে ঐ প্রান্তে ছুটে যাচ্ছেন তিনি।
২০১৫ সালে নানা প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে নৌকা প্রতিক নিয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে সর্বকনিষ্ঠ মেয়র হন মো. মাহফুজুল হক।
মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে মানুষের সুখে দুঃখে সব সময় পাশেই ছিলেন। তাঁর হাত ধরে পৌর এলাকায় মসজিদ, মন্দির, রাস্তা, বিশুদ্ধ পানি, বিদ্যুৎ, সোলারসহ ব্যাপক উন্নয়ন দৃশ্যমান। এ ছাড়াও বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতাসহ প্রায় সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা পেয়ে আসছে পৌরবাসী।
এদিকে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও অপরিকল্পিত আবাসনের ফলে পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে জমে থাকা পানি নিষ্কাশনে বাঁধাগ্রস্থ স্থান গুলোতে মেয়র মাহফুজুল হক নিজে উপস্থিত থেকে পাইপ দিয়ে পানি নিষ্কাশনসহ ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ইট, বালি দিয়ে মেরামত করতে দেখা গিয়েছে।
এ বিষয়ে পৌর এলাকার কয়েকজন নাগরিক জানায়, পৌরসভা প্রতিষ্ঠা পরবর্তী এবং বর্তমান মেয়রের সাড়ে চার বছরে পৌর এলাকায় যে পরিমান উন্নয়ন হয়েছে, তা প্রশংসনীয়। এছাড়া করোনাকালীন পৌরবাসীর সুরক্ষার কথা চিন্তা করে যে সকল উদ্যোগ গ্রহন করেছে, তা বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
এ বিষয়ে মেয়র মাহফুজুল হক বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আমার মুক্তিযোদ্ধা পিতার আদর্শকে বুকে লালন করে আমার সাধ্য অনুযায়ী ফরিদগঞ্জ উপজেলা তথা পৌর এলাকার সকল শ্রেনী- পেশার মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করিছি। চলমান এ ধারা অব্যাহত রাখতে পৌর এলাকার সর্বস্তরের জনগনের সার্বিক সহযোগীতা ও দোয়া কামনা করছি।