
নিজস্ব প্রতিনিধি:
এবার খালু কর্তৃক নিজ ভায়রা মেয়েকে বহুবার ধর্ষনের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ন্যাক্কার জনক এ ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদগঞ্জের রুস্তমপুর গ্রামে। পুলিশ উক্ত ঘটনার র্ধষক কামরুল হোসেনকে (৪০) আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ১০ম শ্রেনীতে পড়ুয়া ওই মেয়েকে লোভ, ভয় ভীতি দেখিয়ে ধর্ষনের পর এর ভিডিও ধারন করেই ক্ষান্ত হয়নি ধর্ষক। বিষয়টি গোপন রাখার জন্য ধর্ষক বিভিন্ন ভাবে ওই ছাত্রীটিকে বিভিন্ন ভাবে চাপের মুখে রাখে।

এ ঘটনায় ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়েরের পর পুলিশ ওই ঘটনার ধর্ষক পাশবর্তী লক্ষীপুর জেলায় রায়পুর উপজেলার পৌর এলাকার ২ নং ওয়ার্ডের দক্ষিন কেরোয়া গ্রামের মৃত আলী আহম্মদ মোল্লার ছেলে কামরুল হোসেন (৪০) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। উক্ত মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার এস আই নুরুল ইসলাম কৌশল অবলম্বন করে গতকাল বুধবার গভীর রাতে ফরিদগঞ্জের গৃদকালিন্দিয়া বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
থানায় দায়ের হওয়ার মামলার ভাষ্যমতে জানা যায় এ উপজেলারই রুস্তমপুর গ্রামের এক প্রবাসীর মেয়েকে বিভিন্ন ভাবে ফুসলিয়ে প্রথমে তার সাথে ভাব বিনিময় করে। এক পর্যায়ে ওই মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন ও বিবিন্ন সময় নগদ টাকা ওই মেয়েটির হাতে দিয়ে তাকে আয়ত্বে এনে গত প্রায় দুই বছর যাবৎ বহুবার ধর্ষন করেই ক্ষান্ত হয়নি কামরুল হোসেন। ধর্ষনের ভিডিও তার মোবাইলে ধারন করে রাখে।
সর্বশেষ ঘটনা গত ২৫ সেপ্টেম্বর ওই মেয়েটি প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক কামরুল ওই মেয়েটিকে মোটরসাইকেল যোগে অপহরন করে নিয়ে যায়। বহু খোঁজাখুজির পর গত ৭ অক্টোবর পাশবর্তী রায়পুর পৌর এলাকার খাঁজুরতলা সেলিম মঞ্জিল থেকে মেয়েটি উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা। উদ্ধারের পর মেয়েটি তার পরিবারের সদস্যদের মেয়েটি উক্ত ঘটনার বিবরন দেয়ার পর মেয়েটির মা বাদী হয়ে ধর্ষক কামরুলের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি মামলা দেয়।
মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার এস আই নুরুল ইসলাম বলেন, ৭ অক্টোবর কামরুল হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশূ নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতার করা কামরুলকে ৮ অক্টোবর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। ধর্ষিতা মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা সহ ধর্ষন ঘটনার বিবরন দিয়ে চাঁদপুরের আদালতে জবানবন্দী দিয়েছে।